নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, এক সপ্তাহে ৩ প্রবাসীর মৃত্যু।
অনেক প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে খোদ নিজেরাই শেষ হয়ে প্রাণহীন দেহ নিয়ে ফিরছেন মাতৃভূমিতে।
গতকাল ১৬মার্চ ২০১৮ইং রোজ শুক্রবার সকালে কুয়েতের মাহবুলা এলাকায় অটো ম্যাক কোম্পানির ব্যারাকে ওবায়দুর রহমান আরমান নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এনিয়ে ৭দিনে তিন কুয়েত প্রবাসী লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন।
ওবায়দুর রহমান আরমান প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে কর্মস্থল অটো ম্যাক কোম্পানিতে যেতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন; ঠিক তখন আকস্মিক সহপাঠী ও সহকর্মীদের জানান তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করছেন।
এমতাবস্থায় আরমানের অসুস্থতার কথা শুনে পাশে থাকা সহপাঠী ও সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছেন,এমনই সময় আরমান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
নিহত আরমানের কুয়েতে আকামা ‘ভিসা’ শেষ হওয়ার ৯মাস আগে খোদ নিজেই জীবনাবসানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে গেলেন।
কুয়েত প্রবাসী ওবায়দুর রহমান আরমান গত ২বছর ধরে অটো ম্যাক কোম্পানিতে গাড়ি চালকের কাজ করে আসছিলেন।
নিহত আরমানের দেশের বাড়ি ঢাকা মিরপুর গাবতলি বাঘবাড়ি গ্রামে।
কুয়েতে নিহত আরমানের আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরে জানাগেছে, বর্তমানে আরমানের মরদেহ ফরওয়ানিয়া হাসপাতেলের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ কুয়েতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় যদিও মরদেহ দেশে পাঠাতে কোনো প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি, তবে আগামীকাল রোববার থেকে সকল আইনি প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে নিহতের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে নিহতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন।